গতকাল সন্ধ্যা থেকে ওড়িশা পুলিশ বিশাল বাহিনি নিয়ে জগৎসিংহপুর জেলার ঢিঙ্কিয়া এবং গোবিন্দপুরের গ্রাম গুলি ঘিরে ফেলেছে। উল্লেখ্য, গত ছয় বছর ধরে এই গ্রামগুলিই বিতর্কিত পস্কো স্টিল-মাইনিং-পাওয়ার-পোর্ট প্রোজেক্টের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রোজেক্টের বিরুদ্ধে মৌলিক অধিকারভঙ্গ, পরিবেশ দূষণ, জাতীয় আর্থনীতির বিরোধিতা ইত্যাদি বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার তা একরকম জোর করে চাপিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর। ... ...
২ মে ২০১১ -- কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে উড়িষ্যা সরকারকে পস্কো প্রকল্পের জন্য ১২৫৩ হেক্টর "বনভূমি'র চরিত্র বদল (divert) করবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলির সিদ্ধান্ত ও মন্ত্রকের নিজস্ব কমিটির সুপারিশ গ্রাহ্য করা হয় নি। রাজ্য সরকার অবশ্য শুরু থেকেই গ্রামসভার সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতাকে অস্বীকার করে আসছিলেন। শ্রী জয়রাম রমেশ রাজ্য সরকারের ব্যখ্যাই গ্রহণ করেছেন। ... ...
আমরা মনে করি, ব্লগ ও ফেইসবুকের ওপর এ হেন খবরদারী মুক্তচিন্তার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপেরই বহি:প্রকাশ, এটি কোনো সভ্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। পাশাপাশি আমরা পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পাহাড় থেকে সেনা-সেটেলার প্রত্যাহারেরও জোর দাবি জানাই। ... ...
রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়েও দলতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর একটা সহজাত প্রতিক্রিয়া ছিল। তাই গড়ে তুলেছিলেন আর একটি সংগঠন - সিটিজেন্স রাইটস্ অ্যান্ড প্রোটেক্সন ফোরাম। এই সংগঠনের ব্যানারে রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে "আর নয় রক্তপাত' এই বিষয়ের উপর সভা করার অনুমতি চাইতে সেদিন ৬ মে তিনি বালি থানায় গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নিজেই রক্তাক্ত হয়ে গেলেন। এরপরে নিশ্চয় ব্যখ্যা করার অবকাশ নেই কেন তপন দত্তের হত্যা কোনো আলোড়ন তুলল না, কেন তাঁকে বিস্মৃতির আড়ালে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যারা তাকে গুলি চালিয়ে মারল তারা কি প্রকৃত দায়ী? যদি পুলিশ তাদের ধরে এবং শাস্তিও দেয় আসল অপরাধী কি আড়ালে থেকে যাবে না? ফলে যথার্থ তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা, কিছু পরিবেশ ও মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার সংগঠন। সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়ে যাওয়া ছাড়া এই ঘটনার কোনো যথার্থ প্রতিকার পাওয়া যাবে না। ... ...
গ্রামেরই একজন বাসিন্দা গোকুল মাইতি আমাদের বলেন যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বদলে গ্রামে অশান্তিই দেখা দেয়। জোর করে গ্রামবাসীদের দিয়ে ক্যাম্পের রান্না করানো, কাপড় কাচানো হত। ওই গ্রামেরই প্রদীপ রায়ের বক্তব্য অনুসারে ক্যাম্পে মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল। একেকজন গ্রামবাসীকে একদিনে ৪০ থেকে ৫০টা চাপাটি তৈরি করতে বাধ্য করা হত। রান্না ভালো না হলে বা নুন বেশি হলে বা রাঁধুনীর যে কোনও ভুলের জন্য ক্যাম্পবাসীদের গালিগালাজ শুনতে হত। একদিন তারা গ্রামবাসীদের বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই (এম)-এর মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করে। এই জোর-জবরদস্তির চাপে নিরস্ত্র গ্রামবাসীরা ক্যাম্পের সশস্ত্র ব্যক্তিদের পাহারাও দিয়ে থাকতেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাঁদের সেই ক্যাম্পের সমস্ত আদেশই মেনে চলতে হচ্ছিল। ক্যাম্পে সময় দেওয়ার জন্য চাষের কাজের ক্ষতি হচ্ছিল, আর ক্যাম্প-সদস্যরা গ্রামবাসীদের সম্মান রক্ষা করছিলেন এমনও নয়। ক্যাম্প তৈরি হওয়ার পরে সিআরপিএফ-এর টহলদারি বন্ধ হয়ে যায়। সিআরপিএফ ওই গ্রামের ভবিষ্যৎ ক্যাম্পের হার্মাদদের হাতেই ছেড়ে দেয়। নেতাই গ্রামের ক্যাম্পের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যেই বীরকর, বেলাটিকরি আর সিজুয়াতে সিপিআই (এম)-এর হার্মাদ বাহিনীর অন্যান্য ক্যাম্প রয়েছে। হার্মাদ বাহিনীর ভয়ে কাঁটা হয়েই গ্রামবাসীদের দিন কাটছিল। ... ...
অভিযোগ ও বিচার: ১) ২০০৭-এর মে মাসে বিলাসপুর থেকে গ্রেফতার হন সমাজসেবী চিকিৎসক বিনায়ক সেন,নক্সাল নেতা নারায়ণ সান্যালের চিঠি মাওবাদীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে। ২) বিনায়ক সেন, নক্সাল আইডিওলজিস্ট নারায়ণ সান্যাল ও কোলকাতার ব্যবসায়ী পীযূষ গুহ মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাষ্ট্রবিরোধী নেটওয়ার্ক চালান। ৩) আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে ড: বিনায়ক সেন নারায়ণ সান্যালের চিঠি আন্ডারগ্রাউন্ড নক্সাল সংগঠনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ৪) ছত্তিসগড় পুলিস যে জনসুরক্ষা অধিনিয়মের ভিত্তিতে বিনায়ক সেনকে গ্রেফতার করেছে উনি শুরু থেকেই সেই অধিনিয়মের বিরোধিতা করছিলেন এবং এটি অসংবিধানিক বলে প্রচার করেছেন। ... ...
গত বিশে ডিসেম্বর ইরানের সরকার জাফর পনাহীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ছ-বছর কারাদণ্ড দেয়। তার সাথে এই ফর্মান জারী করে যে পনাহী কুড়ি বছর কোনো চলচ্চিত্র মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন না, মিডিয়ায় কোনো প্রকার কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এমন ঘৃণ্য অবিচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমী এককাট্টা হয়ে লড়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। পনাহীর প্রতি এই ধরনের বিদ্বেষ নতুন নয়। ২০০৯-তে ওনাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১০-এর শুরুতে ওনাকে আবার ধরা হয়, কাঠ-খড পুড়িয়ে শিল্প-প্রেমীরা দু-লাখ মার্কিন ডলার যোগাড করে তাঁকে জামিনে ছাড়ান। ... ...
উপরের ঘটনাটি থেকে কিছু অসঙ্গতি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, আর তা হল- (১) জনাব তরিকুল ইসলাম, যিনি নিজেই এসএসএফের সহকারী পুলিশ সুপার, তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, মিনা মানসিক রোগী ছিলেন। কিন্তু কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কি কোন মানসিক রোগীকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে রাখবে? তাহলে কি আইনের ধ্বজাধারী তরিকুল নিজেও বিকারগ্রস্ত? আর কোন মানসিক রোগীকে দিয়ে কাজ করানোটাও বেআইনী, তা তো এসএসএফের সহকারী পুলিশ সুপারের জ্ঞাত না থাকার কথা নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, তরিকুলের প্রতিবেশীদের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিনা আদতে কখনোই মানসিক রোগী ছিল না। তবে তার উপর চলত ঐ ফ্ল্যাটের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর অমানুষিক নির্যাতন। ... ...
এই মৃত্যু নিয়ে চাপান উতোর চলছিলই। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানিয়েছিলেন, যে, গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে ছোট পারুলিয়ার জঙ্গল এলাকায় গুলির লড়াই-এ উমাকান্তের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জনগণের কমিটির তৎকালীন সম্পাদক মনোজ মাহাতো (অধুনা নিখোঁজ) দাবী করেছিলেন, গুলিযুদ্ধ নয়, বরং ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে উমাকান্তকে। সম্প্রতি মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ বা মাসুমের একটি "ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট' এই বিতর্কে আরও একটি মাত্রা যোগ করেছে। ... ...
নব দত্তকে সাদা পোশাকের পুলিশ গ্রেপ্তার করে, যা পুলিশের গ্রেপ্তার বিধি সংক্রান্ত মামলায় (AIR 1997 SC 610) বিচারপতি ডি এ বসুর রায়ের সম্পূর্ণ বিরোধী। নব দত্তের পরিবারকে তার গ্রেপ্তার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয় নি। ওঁদের গ্রেপ্তারের সময় কাউকেই কোন 'অ্যারেস্ট মেমো' দেওয়া হয় নি, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এই ঘটনায় পুলিশের কার্যকলাপ প্রমান করে যে আইনের শাসন ভেঙ্গে পড়ার মুখে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদী স্বরকে বোবা করে দেবার স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র। ... ...
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সোমপেটা। এখানে নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন কোম্পানীর প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের বিরোধীতা করছেন স্থানীয় মানুষ। এলাকাটি `ইকোলজিক্যালি ফ্রেজাইল' বলে চিহ্নিত এবং প্রকল্পটি রূপায়িত হলে নিকটবর্তী এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যয়ের সন্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেতে যাতে কোন অসুবিধে না হয় সেজন্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি গুলি দৃশ্যতই মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিয়েছে। ১৪ ই জুলাই পুলিশি প্রহরায় প্রকল্পের কাজ শুরু হলে, জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতার উপর পুলিশ গুলি চালালে দুজন মারা যান। ... ...
৩০ জুন, ভোর ৫টা। গ্রামটি ঘিরে ছিলো যৌথ বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের ৩০০ জনের একটি দল। জঙ্গলে ঝোপে লুকিয়ে ছিলো লাঠি আর বন্দুক। শেষ পর্যন্ত ওরা এলো। মাথায় কলো কাপড়, জংলা ঊর্দি গায়ে ওরা এলো অসংখ্য জিপ আর কালো ভ্যান নিয়ে। সাথে এলো ওখানকারই বীরচন্দ্রী গ্রামের বীর চাঁদেরা, সিপিএম কর্মীরা। প্রশান্ত দাস আর জিতু সাউ, স্থানীয় সিপিএম নেতা। এরা অবশ্য এর কিছুদিন আগে থাকতেই সোনামুখীতে আসছে আর শাসিয়ে যাচ্ছে মহিলাদের - ইজ্জত থাকবে না। ৩০ জুন, যখন যৌথ বাহিনী এলো তখন গ্রামের পুরুষরা সবাই গ্রাম ছেড়ে গেছে। সেটা বড়ো কিছু নয়। এ তো নিত্যনৈমিত্যিক। পুলিশ বা যৌথ বাহিনী আসছে খবর পেলেই পুরুষদের গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়। এটাই নিয়ম। অন্যথায় মার-ধোর, জেল-হাজত, মিথ্যা মামলা-হয়রানি। সোনামুখী ও তার আশেপাশের গ্রাম বীরহান্ডি, শিমলি, বাঁকশোল, ঘৃতখাম, দিদিধা, জারুদিয়ায়ও এসব নিত্যিকার ব্যাপার স্যাপার। সরকারী খবর, সোনামুখীতে মাওবাদীরা ছিলো। অথচ সেদিন যারা আহত, লঞ্ছিত হয়েছেন দুজন বয়স্ক মানুষ বদে সকলেই মহিলা । ... ...
আপনার, আমার - আমাদের সক্কলের জীবনে যা একক ও স্বতন্ত্র - আমাদের সেই ডি এন এ সিকোয়েন্সকে সুরে বাঁধার এক আশ্চর্য প্রয়াস নিয়েছেন অ্যান্ড্রু মর্লে নামে এক গান পাগল মানুষ। ... ...
"আমরা তো আর একা নই, আর একা নই' - একথা বলার সময় কী এসে গেলো! ঠিক অতটা আশাবাদী না হলেও ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির বৈজ্ঞানিকেরা দাবী করছেন তাঁরা সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যা ঠিক আমাদের পৃথিবীরই মত ঘুরপাক খাচ্ছে আরেকটি সূর্যের চারপাশে। এর আগে যদিও সৌর জগতের বাইরে প্রায় সাড়ে চারশো গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকেরা। কিন্তু একটি গ্রহকে তার সূর্যসহ আবিষ্কার করার তাৎপর্য্যই আলাদা। আর এই পুরো শনাক্তকরণটাই হয়েছে ডায়রেক্ট ইমেজিং-এর মাধ্যমে। ... ...
কর্পোরেটাইজড পুলিস স্টেটের চেহারা বাস্তবে কিরকম হতে পারে কলিঙ্গনগরের দিকে তাকালেই তা বেশ মালুম হবে। উড়িষ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা দুটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিসের ভূমিকা যখন স্ক্যানারের তলায়, কার্যসিদ্ধি করবার জন্য পুলিস চমৎকার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। বাইরে থেকে আদিবাসীদের নিয়ে এসে প্রথমে স্থানীয় প্রতিবাদীদের সাথে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারপর "আইনশৃঙ্খলা' রক্ষার জন্য পুলিস হস্তক্ষেপ করছে। ... ...
পুলিশের বক্তব্য অনুসারে লক্ষ্মণবাবুর দেহ পোস্টমর্টেমের পর বুধবার রাতেই তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়, আর সেদিনই পুরীতে দাহ করা হয় দেহ। লালমোহন জামুদা, লক্ষ্মণ জামুদার ভাইপো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তাঁদেরকে মৃতদেহ দেখানো পর্যন্ত হয় নি। বারো তারিখ রাতেই তাঁকে কলিঙ্গনগরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর বোন শম্ভরি কুরলি ও তাঁর স্বামীকেও ডেকে পাঠানো হয়। তারপর ত্রিজঙ্গা গ্রামে তাঁদেরকে একটা ঘরে আটকে রাখা হয়েছিলো। সেখানে তাঁদের মারধোরও করা হয়, বলা হয় যে "বিস্থাপন বিরোধী জনম্ঞ্চ' এর সমর্থনের জন্য এই শাস্তি। পুলিশ তাঁদেরকে বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে। ... ...
স্পেশাল সেক্রেটারীর অফিস জানালো তিনি লাঞ্চে গেছেন। যেন পরে ফোন করা হয়। (যখন আমি বললাম "যতক্ষণ উনি লাঞ্চ করছেন ততক্ষণে কিছু মানুষ মারা যেতে পারে" তখন যিনি ফোন ধরেছিলেন তিনি বললেন" " হ্যাঁ, সেটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বটে!) ...... সন্ধ্যা ৭-১৪ : এইমাত্র খবর পাওয়া গেল অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন নুয়াগানের নাথা সোয়েন এবং ধিনকিয়ার রমেশ দাস। এঁদের অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। POSCO বিরোধী গ্রামগুলোতে যাওয়ার সব রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। একশোরও বেশি মানুষ আহত যাদের মধ্যে অনেক শিশু আর নারীও আছেন। অথচ চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার কোন ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, কারণ রাস্তা বন্ধ। ... ...
এই মুহূর্তে ওখানে অন্তত ৭০০ আন্দোলনকারী রয়েছেন এবং এই বিরাট পুলিশপবাহিনীর সামনে তাঁদের জীবন বিপন্ন। আসন্ন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে থামানোর জন্যে সমস্ত সচেতন নাগরিকের উদ্যোগ অপরিহার্য। এই আবেদনটিতে পস্কো-বিরোধী আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতে দেখিয়ে পৃথিবীর সমস্ত মানবাধিকার সংগঠনকে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ... ...
আপনারা জানেন যে, দিল্লীর মনমোহন সিংহ সরকার, ভুবনেশ্বরের নবীন সরকার, ও দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির মিলিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, আমরা, ধিনকিয়া চারিদেশের মানুষরা, গত ২৬শে জানুয়ারী ২০১০ থেকে বালিতুথাতে ১০৭ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ ধর্ণা চালিয়ে আসছি। প্রতিদিন, কৃষক, মৎসজীবি, ভুমিহীন মজুর ও দলিত পরিবারগুলি থেকে হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশু এই ধর্ণায় যোগ দিচ্ছেন। দু:খের বিষয় হল, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির আবেদন "জনগনের প্রতিনিধি' এই সরকারগুলির মধ্যে কোনো দায়িত্বজ্ঞান তৈরী করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ওপর, ঐ সরকারগুলি বরং পস্কো, বেদান্ত, টাটার মতো কর্পোরেটদের প্রতি অভূতপূর্ব পক্ষপাতিত্ব দেখাচ্ছে। ... ...
চান্ডিয়াতে পুলিশের গুলি চালনায় একজন নিহত হলেন একজন, অন্তত:পক্ষে দুজন গুরুতর আহত। নিহতের নাম লক্ষ্মণ জামুদ, বয়স আনুমানিক ৫০-৫৫; আহতদের মধ্যে দুজন মহিলা- জেমার (বয়স ৩২) শরীরে ৬টি বুলেট লেগেছে এবং বাসন্তী বংকিরির (বয়স ৩০, ৪ সন্তানের জননী) পায়ের আঘাত গুরুতর। পুলিশ এবং মিডিয়া ঘটনাটিকে আড়াল করতে চাইছে, স্থানীয় সূত্রের খবর এলাকার মিডিয়াকর্মীদের পুরী নিয়ে গিয়ে টাটা কোম্পানী তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে যে পুলিশি বর্বরতার খবর প্রকাশ করা হবেনা। ... ...